
নির্বাচন যদি দেখতে চাও দিরাই -শাল্লা চলে যাও। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের দিরাই শাল্লায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ।
অন্যান্য উপজেলার চেয়ে রাজনীতিক ভাবে সচেতন এই দুই উপজেলার মানুষজন। চায়ের কাপ থেকে শুরু করে হাট-বাজারে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। এ আসনে দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
১৯৯৬, খ্রীষ্টাব্দে বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে পরাজিত করে সমগ্র দেশের নজর কাড়েন নাছির উদ্দিন চৌধুরী। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন ঢাকা’র একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কিন্তু সাবেক এমপি নাছির উদ্দীনের শুন্যতায় ভূগছেন তার নির্বাচনী এলাকার মানুষজন। দিরাই শাল্লার বিভিন্ন পল্লীতে বিএনপির সভা সমাবেশে নাছির উদ্দীন চৌধুরী’র বেশ সমর্থকদের অপেক্ষার আর্তনাদ শুনা যায় ‘যে এমপি সাহেব কবে আসবেন।
গত কয়েকদিন যাবত দিরাই উপজেলা ও শাল্লা উপজেলায় বিএনপির বেশ কয়েটি সভা সমাবেশ অনুষ্টিত হলেও সর্বত্রই শুনাযায় নাছির চৌধুরীর আলোচনা। সভার সিংহভাগ মানুষই অধীর অপেক্ষায় এমপি সাহেব কবে ( আইবা) আসবেন।
দিরাই শাল্লা’র একাধিক নেতা কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী যিনি বিএনপির দুঃসময়ে শুধু দিরাই শাল্লা নয়, সমগ্র জেলায় বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
নাছির উদ্দীন চৌধুরী’র কর্মীদের দাবী তিনি দীর্ঘদিন যাবত এ আসনের বিএনপির কর্মীদের ও এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন। তিনি ব্যতিত দিরাই শাল্লা’য় বিএনপির মনোয়ন লাভ কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তাহাকে যদি কেন্দ্র মূল্যায়ন করে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
রফিনগর ইউনিয়নের এক বিএনপির কর্মী জানান,নাছির উদ্দীন চৌধুরী বিএনপির জন্য সংগ্রাম করেছেন। আমরা ছোট্র থেকে দেখে আসছি তার কাজ কর্ম। উনি আমাদের জেলেদের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। দিরাই শাল্লায় চোরদের বিরুদ্ধে ছিলো উনার অগ্রণী ভূমিকা।
উনি দিরাই শাল্লা’র মানুষকে শান্তিতে রেখেছিলেন।
উনার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি, আমাদের মতো সাধারণ মানুষ।যিনি বিএনপির দুঃসময়ে ছিলেন উনাকে যদি মূল্যায়ন না করা হয় বিএনপি থেকে আমাদের আস্থা চলে যাবে। রাজানগর ইউনিয়নের প্রবীন রাজনীতিবীদ এক বায়োবৃদ্ব মুরুব্বী জানান,কত নেতা আইলা গেলা নাছির উদ্দিন টিকই রইলা। দিরাই শাল্লায় নাছির উদ্দিন মানেই ধানের শীষ। এ আসনে নাছির উদ্দিনের বিকল্প কেউ হতে পারে না। আমরা এখন ও আমাদের নেতার অধীর অপেক্ষায় আছি।